Friday, 11 December 2015

নিয়ে চল মা

আজ আঠাশ দিন হলো 
আমি তোমাদের দেখতে পাচ্ছি চোখের সামনে 

মা তুমি কত সুন্দর
দশ মাস ধরে অপেক্ষা করেছিলাম
তোমার হাতের স্পর্শ অনুভব করব বলে
প্রথম যেদিন অন্ধকার থেকে অনেক আলোয় এলাম 
বাবার আমার দিকে এক পলকে তাকিয়ে থাকা 
তোমার ক্রমাগত চুম্বন 
আমি ঘাবড়ে গেছিলাম 
বোকার মতন কাঁদছিলাম
 
মা ,
তোমার কোলে যখন মুখ লোকাই 
মনে হয় চারিদিক কেমন শান্ত হয়ে যায় 
ঘুমে চোখ ঢুলে আসে 

বাবা যখন প্রথম আমায় কোলে নিল 
বাবা কেমন একটা ভয় পাচ্ছিল 
পাছে আমার ব্যথা লাগে 
বাবা ,
আমার একটুও কষ্ট হয় না 
যখন তুমি আমায় কোলে নাও 
মনে হয় কোনো ভয় নেই আমার 
তুমি তো আছ 

যখন রাতে তোমাদের মাঝে আমি ঘুমোই 
মনে হয় পৃথিবীটা কত ছোট্ট হয়ে গুটিয়ে এসেছে আমাদের বিছানায় 

তোমরা কোথায় এত সকাল সকাল ?
আমায় রেখে কেন যাচ্ছ মা ?
আমাকেও সঙ্গে নাও না। 

না ,আমার খিদে পায়নি ,
আমি তোমার সাথে যাব  বলে কাঁদছি। 

আমায় নিয়ে চল না বাবা 
আমার একটুও ভালো লাগে না তোমাদের ছাড়া থাকতে 
আমি মাযের সাথে খেলব 
মা .....


এক ঘন্টা পর 



মা  তুমি এসেছ ?
কাঁদছ কেন বাবা ?
আমার খুব কষ্ট হচ্ছে 
আমায় একটু কোলে নাও না?

মা , জানতো ওই কাকু টা দুষ্টু  
যে কাল এসেছিল বাড়িতে
আর অনেক খেলছিল আমার সাথে 

আজও এসেছিল 
ভেবেছিলাম খেলতে 
কিন্তু মা ও আমায় অনেক ব্যথা দিছিল খেলার সময় 
আমি কাঁদছিলাম 
কিন্তু ও তোমার মত বুঝতে পারেনি যে আমার লাগছে 
আরো বেশি ব্যথা দিয়েছে 

মা , বাবা কোথায় ?
আমি যে আর কথা বলতে পারছি না 
কেমন একটা অবশ হয়ে আসছে পুরো শরীর 
মা ,তুমি কেদো না 
তাহলে আমার আরও কষ্ট হবে 

একটু কোলে  নাও  না ?

সবাই বাজে 
তুমি আর বাবা ছাড়া 

মা আমায় আবার তোমার মধ্যেই রেখে দাও 
সেই ভালো , 
আঠাশ দিন আগে পর্যন্ত ভাবতাম 
বুঝি ভেতরটা খুব অন্ধকার আর বাইরে তে অনেক আলো 
কিন্তু মা,
এখন বুঝছি আমার জন্য ভেতরটায়'নিরাপদ ,
 বাইরেটাই আসলে অন্ধকার 
আমায়  আরেকবার তোমার ভেতরের আলোয় নিয়ে চল মা
আমি তোমার ভেতরেই থাকব 

নিয়ে চল মা 

বাবা তুমি আগে যেমন কান পেতে আমার কথা শুনতে 
এখনো সেভাবেই বলব 
কষ্ট পেয় না 
আমি তোমায় খুব ভালোবাসি 

তুমি কি চাও আমি এরকম ব্যথা আর পাই 
তাহলে মা কে বল না আমায় আগের মত ওই ছোট্ট জায়গাটাতে নিয়ে যেতে !

Saturday, 14 November 2015

কথা দিলাম

সারা রাত কেটে ভোর হয়ে এলো 
তবু সিদ্ধান্ত নিতে পারলাম না 

এত সময় কেন লাগছে আমার 
খুব সহজ হবার কথা ছিল তো এটা !

তাহলে ?
কোথায় আটকে যাচ্ছি আমি ?

মৃত্যু ,  এটাই তো সব থেকে সহজ সমাধান 
তাহলে ?
 কিসের এত দ্বিধা জাগছে মনে ?

আমি তো সব মায়ার বন্ধন কাটিয়ে ফেলে এসেছিলাম ,
তাহলে কি টেনে রেখেছে এখনো আমায় ?



একটা নিছক স্বপ্ন !!
তার কি এত জোর হতে পারে ?
আমার অতীতের এত  যন্ত্রণাকেও ছাপিয়ে গেল  ও !
কবে ?
কখন ?
আর কি করেই বা ?

চোখ বন্ধ করলে আমি যে তোকে অনুভব করি আমার মধ্যে 
তোকে আদর করি মনে মনে 
তোকে নিয়ে সুখে থাকার দিন কল্পনা করি 

তোর ছোট ছোট আঙ্গুল গুলো যেন আমায় আঁকড়ে ধরে 
তোর বড় বড় চোখ গুলো যেন আমাকেই খোঁজে 
তোর হাসির আওয়াজ যেন আমার কাছে মন্ত্রের মত লাগে স্নিগ্ধ 

তুই হাঁটবি আমার কনিষ্ঠ আঙ্গুলটা  ধরে 
আমার কোল জুড়ে শুয়ে থাকবি 
আমার বুকে মুখ গুজবি 
আমায় মা বলে ডাকবি 
আমি তোর প্রতিটা ডাক কান পেতে শুনব 

তুই আমার আগামী জুড়ে আছিস 
আর থাকবিও 
হ্যা , 
তোকে প্রথম কোলে  নেবার  অনুভূতিটা
 এই মৃত্যুর থেকে'অনেকগুন সুন্দর 

আমি বোধ হয় এটাই চেয়েচিলাম
আমি বাঁচার কারণ খুজেতে গিয়েই তোকে পেয়েছিলাম 

আর আজ তোকে কথা দিলাম 
আমি বাঁচব 
আর তোর সাথে 
তোকে নিয়ে
আমাদের এক ছোট্ট সুখী দুনিযায়  


Thursday, 24 September 2015

পশুর প্রেম

এখন ভোর
বাইরে কয়েকটা কাক ডাকছে বোধ হয়
আমি এখনো জেগে

অর্ধ নগ্ন

অপেক্ষা করছি
আবার পাশবিক অত্যাচার শুরুর


পশু টা পাশেই শুয়ে
অঘোর নিদ্রায়
তৃপ্ত সে
সারা রাতের অতৃপ্ত পিপাসা মেটার তৃপ্তি


আমার পা গুলো এখনো একটু একটু কাঁপছে
পেটের নিচটা ও ব্যথা

বাড়ির কথা মনে পড়ছে
আমার বাড়ির জানলা
আমার বাড়ির ছাদ

এখন তো আমার বাড়ির সামনেও কাক ডাকছে

পশুটার ঘুম ভাঙ্গার সময় হয়ে এসেছে
আবার শুরু হবে সেই চিরাচরিত
প্রেমের বহিঃ প্রকাশের নামে শরীরী খেলা

যেখানে আমার ব্যথার চিৎকার এর উল্লাসে
মাতবে সারা ঘর
এ যেন যন্ত্রণা  উদযাপন এর মহা যজ্ঞ
আমার প্রতি তা চোখের জল যজ্ঞর  আহুতি
আমার ছটফটানি যজ্ঞ এ পশুবলির এ প্রতিকী

খানিকক্ষণ পর আমি শান্ত হয়ে পরি
যখন আমার দুই উরু দিয়ে গড়াতে থাকে
উদ্দাম ভালবাসার পরিনতি

শরীর ভেসে যায় পলাশের মত লাল রঙ্গে
কামিনী ফুলের গন্ধের মত তীব্র একটা যন্ত্রনায় কাঁপতে  থাকে সারা শরীর

ততক্ষণে চোখের জলের দাগ গুলো শুকিয়ে যায়
জেগে  থাকে একটা নির্বাক দৃষ্টি

পশুর তৃষ্ণা বুঝি মিটলো
ক্লান্ত সে আশ্রয় খোঁজে
আবার এই শরীরেই

আমায় বলে  আমি নাকি খুব সুন্দর
বলে আমায় বিয়ে করতে খুব ইচ্ছে করে ওর

আমার ও জিগ্যেস করতে মন চায়

কাকে?
আমার আমিকে ?

 নাকি এই দেহটাকে ?

Monday, 21 September 2015

দৈত্য

নীল রাত আর ঝিঁঝি পোকার ডাক
পাশের ঘরে এক গর্ভবতী মহিলার ঘুমের নিশ্বাস 

হঠাত এক দৈত্যর  আবির্ভাব
দৈত্যটা খুব চেনা 
ঝাঁপিয়ে পড়ল আমার ওপর 
যেন কতদিনের লোভনীয় শিকার 

কিছু বুঝে ওঠার আগেই 
আমার শ্বাস রোধ করতে চাইল
কি যেন একটা বলতে চাইছে ও 


আমার অন্তরের চিৎকারটা  আর বাইরে শোনা গেল না সেই রাতে 

মহিলাটি কে কি ডাকব ?
কিন্তু !

চোখের পলকে আমায় কব্জা করে নিল ও 
আর  তারপর  আমার টুঁটি চেপে ধরার বদলে 
কি যেন খুজতে লাগলো সারা শরীর জুড়ে 

জানিনা কেন আমি ধীরে ধীরে শান্ত হয়ে যাচ্ছি 
হাত পা ছঠফঠ আর করছে না 
বুকের ভেতরটা  হিম হয়ে আসছে 

আমি ওর শক্ত মুঠোটা ছাড়াতে পারছি না কেন 
এক এক করে আমার শরীর কেন ও উন্মুক্ত করছে 

একি !
ও তো দৈত্য নয় !
ওকে তো আমি মনে মনে পুজো করতাম !

তবে কি আজ ই রক্ষক ভক্ষক এর রূপ নেবে ?
কিন্তু সে তো গল্পকথা 

একটা অসহ্য যন্ত্রণার সাথে সাথেই বুঝলাম এটা কোনো রুপকথা নয় 
এটা সেই রোজ সকালের কাগজের প্রথম পাতার  চেনা বাস্তব 

আমার শ্বাস রুদ্ধ হাত মুঠোয় বন্দী 
একটা গোঙানির আওয়াজ শুধু মিশে যাচ্ছে ঝিঁঝির ডাক আর কালো রাতে  

একটা সময় দেহটা শান্ত হয়ে এলো 
বোধহয় অসহায়তায় 

যন্ত্রণা বাড়ছে ক্রমাগত 
দৈত্য আরও যেন জাঁকিয়ে বসেছে 
পুরো শরীরটার ওপর
আর নিস্তার নেই 

আর যন্ত্রণা বোধ হচ্ছে না 
আমি এক দৃষ্টে তাকিয়ে ওর চোখে 

ওর চোখ বন্ধ 
মুখে একটা জীঘাংসার ছাপ 

দৈত্য হঠাত থেমে গেল 
আমার দিকে তাকালো 
আমার চোখের জল মুছিয়ে 
একটু হাসলো 

এই হাসিটাকি ওর ছিল 
নাকি আমার ভাগ্যের পরিহাস ছিল 
আজ ও জানি না  

আমি বিবস্ত্র 
একটু সম্বিত ফিরতেই বুঝলাম 
আত্মাকে রক্তাত এই ভাবেই করে মানুষ্ 

সেই রক্তের দাগ কেন জানিনা আজ ও গেল না 
মাঝে মাঝেই নিজের গায়ে পাই ওই রক্তের গন্ধ
ভয় পাই 
পাছে বাকিরাও ওই গন্ধটা পেয়ে যায় !

আচ্ছা , ওদের গায়েও কি আছে 
এরকম রক্তের গন্ধ ?

যন্ত্রনাটা আর নেই এখন 
শুধু ক্ষতটা লুকিয়ে রেখেছি 
যাতে ভুলে না যাই 
যে আমি কিন্তু মৃত।  


ভালোবাসি তোকে

সেই দিন টা মনে কি পরে তোর ?
তোর পাশে বসেছিলাম

আর তারপরটা ইতিহাস !

অনেক বছর কেটে গেছে মাঝে
জানি। 

কিন্তু তুই কি জানিস
বছর বাড়ার সাথে,
সমানুপাতে,
বেড়েছে অমোঘ এইই টান 

তখন কি আর জানতাম এটাই সেই স্বর্গীয় বন্ধন ?
যার কথা ছোট্ট বেলায় পড়েছি শরৎচন্দ্রর গল্পে 

গল্প যে সত্যি হয় 
তুই এলি তাই জানলাম 

তারপর কত ভুল কত ঠিক পার করে
আজ খালি হাতে দাড়িয়ে 
তোর একটুখানি ভালবাসার অপেক্ষায় 

আজকের সত্যিটা আমি অস্বীকার করছি না  
কিন্তু মিথ্যেও বলতে পারছি না এইই অনুভূতিটাকে
 
যেটা দিনে-রাতে আমায় জীবন্মৃত করে রেখেছে 
যেটা আমায় রোজ স্বপ্ন দেখায় 
যেটা আমার রোজ স্বপ্ন ভাঙ্গে 
যেটা আমায় কালকের জন্য আরেকবার বাঁচতে শেখায় 
যেটা অসম্ভব কে সম্ভবে পরিনত করার মিত্থ্যে আশা জোগায় 

ভালোবাসি তোকে। 
কি করে এত সহজে হার মেনে নেব বলতে পারিস !

আজ চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করছে
আমি তোকে ভালোবাসি ভালোবাসি ভালোবাসি
অনেকখানি। 

আর কোনো উপায় নেই আমার 
এই চক্রব্যূহ থেকে বেরোনোর 
আমার মন আর মানছে না কোনো কঠিন সত্যি 
শুধু ভালবাসছে তোকে 
শুধু ভালবাসছে। 

Wednesday, 16 September 2015

অনেকদিন পর

অনেকদিন পর
তোর লাল পাঞ্জাবি টার কথা মনে পড়ল
আর মনে পড়ল আমে কোলে তোর মাথা রাখার কথা

কি সুন্দর তুই

আমার আঙ্গুলের ফাকে তোর এলোমেলো চুল
তোর মুখের সেই আদর

তোর স্মৃতি তোর হাসির মতই সুন্দর

 তোকে এত বছর পর প্রথম দেখা
তুই দাড়িয়েছিলি  ওপরে
আমার হৃদস্পন্দন টা আরো একবার যেন থমকে গেল

তোর নিশ্বাস খুব কাছ থেকে আবার অনুভব করলাম
আরো একবার

তোর জামা টা আঁকড়ে দাড়ালাম
আরও একবার

তোর হাত তা আমার গালে রাখলি তুই
আরও একবার

আমার চোখে তাকালি
আরও একবার

এই বার আর তোর চোখ থেকে চোখ সরাইনি
একটা পলক ও ফেলতে ইচ্ছে করছিল না

আমাকে ভালোবাসলি অনিচ্ছা সত্বেও
আরও একবার

হয়ত শেষবার

আজ ও  আমি পড়ে আছি
সেই মুহূর্ত গুলো আঁকড়ে।

শুধু তুই নেইই ওখানে।

কিন্তু পড়ে আছে এখনো
তোর স্পর্শ ,
তোর চাহনি ,
তোর চোখের আদর,
আর অনেক খানি তুই।

শুধু হারিয়ে গেছে একটাই
"আমরা"।

যন্ত্রণা


যন্ত্রণা ,
এও কি মধুর হতে পারে ?

চোখে তো তোর  জল,
তবু  ব্যথার জন্য কেন তুই  পাগল ?

আমি জানি
মরতে চাস তুই।
কিন্তু ,
সে তো ভালোবেসে।

নাকি ভালবাসার আঘাতে ?


যত আঘাত পাস ,
তত বাড়াস সহ্যর  সীমা।

রোজ রাতে দিনে যে তোকে ছিন্ন ভিন্ন করে
রক্ত মাখা ওই হাত টা তোর এত পছন্দ ?

ওর গায়ে তুই পাস না তোর জন্য ঘেন্নার গন্ধটা ?
ওর চোখে কি দেখিস না নিষ্ঠুরতার ছায়া ?

তোর চোখের চাহনি ও এড়াতে পারেনা ঠিকই
তোর শরীর ওকে আকর্ষণ করে ঠিকই

কিন্তু

তুই ভুলিস না তুই ওর কাছে শুধুই একটা ভুল অতীত
তোর ভালবাসা ওকে স্পর্শ করে না


তোর এই অনুভূতি গুলো ওর কাছে
পাঠ্যক্রম এর সেই এক ঘেয়ে কবিতা।
যার সুরেলা ছন্দই তাকে করে তোলে,
বড্ড একঘেয়ে আর অসহ্য।

জানি , অবাধ্য তোর মন।
অশান্ত চঞ্চল দিশেহারা
এক ফোঁটা বৃষ্টির আশায়।

এইই প্রখর উত্তাপের সাথে
পারবে কি যুঝতে ?

নাকি একদিন শুষে নেবে তোর শেষ রক্ত বিন্দুটাও ?


Tuesday, 18 August 2015

ইচ্ছে




ইচ্ছে করে তোর হাতটা ধরে যাই ওই উঁচু পাহাড়টায় ,
যেখান দিয়ে মেঘ গুলো ছোয়া যাবে বেশ।
আর  ঝিরঝিরে বৃষ্টিতে ভিজবো দুজনে। 

  
কিংবা ,

ধর যদি যাই কোনো বনে ?
ঝিঝি এর ডাকের কোলাহলে মাতবো, 
রোদের লুকোচুরি খেলা দেখব ,
গায়ে মাখবো বুনো গন্ধ।


নাকি যাবি ঐই সমুদ্দুরে ?
যেখানে দুই নীল মিশেছে দিগন্তে।
যেখানে নীল জল রোজ স্নান করে লালে .
বালুকণা চকচক করে  সাদা ফেনায়।
 


জানি , ইচ্ছে গুলো বড়ই সাধারণ তোর কাছে ,
আমার কাছে এটাই ঝিনুকের মধ্যে লুই রাখা সেই মুক্ত।
অনেক দামী আর স্বচ্ছ।
 



আসলে যেতে পারি যে কোথাও....
শুধু যদি থাকিস আঙ্গুলের ফাকে।
বন্ধ মুঠোয় থাকবে আমার হাত,
 চোখ তোর চোখে ,
এগিয়ে চলব।
একটুও ভয় করবে না জানিস  ?
জানি ক্লান্ত হলে নোয়াব মাথা তোর বুকে। 

Monday, 3 August 2015

ভাঙ্গা কাচের টুকরো

কিছু শুকনো পাতা ।
আর একটা ভাঙ্গা কাচের টুকরো ।

কযেক ফোটা চোখের জল পরে তাতে
শুকনো পাতা\গুলোর আওয়াজ শুনতে পাচ্ছি এখনো ।


তবে কি তুই সত্যি চলে যাচ্ছিস ?


কাচটা আবছা হয়ে  যাচ্ছে
ফোটা ফোটা রক্ত আর চোখের জলে

পাছিস কি আর  দেখতে ?

পেছনে তাকাস না প্লিস
আমি এখন তোর বুকে মাথা দিয়ে শুয়ে

ক্লান্ত লাগছে ।
এবার ঘুমাবো তোর বুকে চিরতরে


ভয়

 তুই কি সৃষ্টি 
নাকি আমার মৃত্যু ?

তুই আছিস 
নাকি সবই অলীক স্বপ্ন? 

তুই কে ?

নতুন করে গড়ছিস কি আমায় ?
নাকি গুড়িয়ে দিছিস ?

তবে যে তোর চোখ অনেক কিছু বলে আমায় 
সবই  কি আমার  মনের ভুল ।

আমার কাজল কালো চোখ যে তোর অনেক প্রিয়
তবে কালো ক্ষতগুলো কেন নয় ?

আমার হাসি তো এত প্রিয় তোর 
তবে কান্না কেন নয় ?

জন্মের সময় ও তো ক্ষত হযেছিল কারো দেহ 
ভেবে দেখেছিস কি ?

যন্ত্রণা তো সুখেরই ভোর 

আমি কি তবে হেরে গেলাম ওই যন্ত্রণার কাছে ?
ক্ষত গুলো কি এবার গ্রাস করবে আমার হৃদস্পন্দন ?


নাকি তুই আসবি যন্ত্রনায় ভাগ বসাতে ?
খুনসুটি করে কেড়ে নিবি তার কিছুটা ।


মাথায় হাত রেখে বলবি 
তোকে সবটা দেব না , আমারও  চাই 

নাকি ভয় পাবি দগদগে ঘায়ে 

নাকি শেষ হার মানার আগে এসে জিতিয়ে দিবি  আমায় ?

তোর গায়ের গন্ধ এখনো লেগে আমার শরীরে 
ক্ষত ছাপিয়ে। ...

ক্ষতগুলো শুকোবে একদিন 
কিন্তু দাগ যে থেকে যাবে রে !


তখন কি ভয় পাবি ?
এখনের মতো ?









ছোট্ট একটা স্বপ্ন


ছোট্ট একটা স্বপ্ন রামধনুর মতন রঙিন ।

খোলা আকাশ নেমে আসুক তোর বুকে

ছুইয়ে যাক আমার চুল

তোর চোখে তৃপ্তির সুখ



হাসিতে বাতাস করুক গমগম

যেমন সন্ধের ঝিঝি পোকার ডাক আর হালকা কামিনীর গন্ধ


আর আমি প্রাণ ভরে শুনি ছোট ছোট পাযের শব্দ

খিলখিল' হাসি আর মা বলে তার ডাক

আমি তখন তাকিয়ে তোর চোখে

তুই অন্যমনস্ক
সেরা উপহারটা দিলি ....
কিন্তু অজান্তেই। .


Sunday, 2 August 2015

ঘুমন্ত তুই

আধো  আধো চোখে দেখছি তোকে।
ঘুমন্ত তুই।
তোর্ নিশ্বাস এর উষ্ণতা আমার গালে
তোর্ এলোমেলো আর মুখের স্নিগ্ধতা

এতটা সুন্দর নিষ্পাপ তুই ?

                                                           
বাইরে বৃষ্টির ফোঁটা জানলা বেয়ে নামছে ।
ইচ্ছে করছে  ঠোঁট ছুঁতে                              
কিন্তু এই অনুভূতিটা' যেন আলাদা। .


খানিকটা স্বর্গীয়। .



তোর্ প্রতিটা হৃদস্পন্দন আমারই জন্য রাখা ছিল
তোর্ বন্ধ  চোখের সারল্য আমার জন্যই তোলা ছিলো


আজ আমি পরিপূর্ণ...... ..
তোর্ ভালবাসায় ,
তোর  আলিঙ্গনে ।
সার্থক আমার নারীত্ব ,
তোর  চুম্বনে   ।

Friday, 24 July 2015

চাতক

 এক ফালি রোদ মেঘের পেছনে লুকিয়ে
ঠিক যেমন তোর ভালবাসা লুকিয়ে আছে ঘন মেঘের পেছনে
আমি চাতক এখন'
কেন জানিস ?

উত্তরটা পেয়ে যাবি  বৃষ্টির ফোটায়। ......


ঘন বর্ষা আসুক নেমে আমার ওপর
ভিজে যাক আমার প্রতিটা পালক


জানি রোদ্দুরে শুকোব ডানা
উড়াল দেব আবার ঐই নীল আকাশে
প্রচন্ড উত্তাপে পুড়ব আবার।

চাতক কি চাস তুই ?
রোদ্দুর না বৃষ্টি ?

চাতক হাসে।

"বৃষ্টি ভেজা ডানা চাই শুকোতে "





শেষবার

আবছা আলোয় ভেসে যাচ্ছে গলি ,
আমি দাড়িয়ে।
অপেক্ষায়। .......
চশমার কাচটা ঝাপসা হযে গেছে
ঘষা কাচের জানলায় একটা ছায়া আস্তে আস্তে ছোট হযে যাচ্ছে
চোখ বন্ধ করলাম
বাতাসে এখনো তোর্ গায়ের গন্ধ অনুভব করছি
তোর্ চোখের অস্বস্তি , তোর্ কপালের ভাঁজ , তোর্ গলার উঁচু স্বর
কেমন যেন গলা টিপে ধরে আছে এখনো আমায়
হাত মুঠো হযে আসছে
.ছায়াটা বিন্দু হযে গেল।
সব এখন ঘোলাটে
শেষ হবার পরের সাতটা  মিনিট  বোধ হয় শুরু হবে এখন
দেখব আবার তোকে প্রাণ ভরে সেই কোকড়া চুলে
 তোর্  চোখের ভালবাসার চাহনি ,
মুখে হাসি
আর
এক সাথের সেই মুহুর্তগুলো
দেখব আর  একবার
শেষবার